নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের শংকায় বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে এখন হারের মুখে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান। এতে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের সামনে লিড দাঁড়িয়ে গেছে ৩৭৪ রানের। আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের কয়েকটি বল খেলা হয়নি, হলে লিড আরও বাড়তে পারত। সমর্থক মহলে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আগামী দুই দিনে এই ম্যাচ কি বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ? কাজটা যে ভীষণ কঠিন।

ছবি: বিসিবি
প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা আফগানিস্তান শুরুতেই বিপদে পড়েছিল। দলীয় মাত্র ৪ রানে তাদের দুই শীর্ষ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সৌজন্যে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তৃতীয় বলে এলবিডাব্লিউ হন ইহসানুল্লাহ (৪)। পরের বলেই প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন সাকিব। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২৮ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় আফগানিস্তানের। হাসমতুল্লাহ শহিদীকে (১২) সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করেন নাইম হাসান।

শুরুর এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জারদান এবং আসগর আফগান। এই দুজনের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় সফরকারীরা। চতুর্থ উইকেটে আসগর আফগান আর ইব্রাহিম জারদান গড়েন ১০৮ রানের জুটি। ১০৮ বলে ৫০ রান করা আসগরকে তাইজুল ইসলাম ফেরালে এই জুটির পতন হয়।

তরুণ অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় ইব্রাহিম জারদানের ২০৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ নবি টিকতে পারেননি। ৮ রান করে মিরাজের বলে ধরা পড়েন মুমিলুলের হাতে। ২২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা অধিনায়ক রশিদ খান শিকার হন তাইজুল ইসলামের।

এর আগে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে ২০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ইনিংসে যুক্ত হয় মাত্র ১১ রান। আফগানদের লিড ১৩৭ রানে। ৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থেকে যান ৪৮ রানে। আরেক পাশে তাইজুল ও নাঈম বিদায় নেন দ্রুত। আগের দিনের সফল দুই বোলার নবি ও রশিদ ভাগাভাগি করেছেন শেষ দুই উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রশিদ ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫৫ রানে।

No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.